ব্যস্ততার এ জীবনে অবসর যেন এক অন্য
গ্রহের শব্দ। কিন্তু তা সত্ত্বেও আমরা সপ্তাহে অন্তত একবার এ শব্দটির মুখোমুখি হই।
কিন্তু কর্মের মানুষ সময়টাকে কিভাবে অকর্মে কাটাবে তা একটা ধাঁধার বিষয়। অনেকের
ক্ষেত্রেই দেখা যায়, অবসর সময়টা খুব বাজেভাবে কাটে। তাদের মনে হয় এরচেয়ে বরং অফিস
বা ক্লাস থাকলেই ভালো হতো।
এক্ষেত্রে একটা প্রশ্ন সবসময় চলে আসে,
“কিভাবে কাটাবো অবসর সময়?” অবসর সময়টা ভালোভাবে কাটানোর দারুণ কিছু টিপস নিয়ে আমাদের
আজকের আয়োজন।
ঘুমের সাথে আড়ি
অনেকে ছুটির দিনে শুধু ঘুমিয়েই কাটান। এখনকার
জেনারেশন এটাকে বলে ‘কোপাইয়া
ঘুমানো’। এ কাজটা কখনও করবেন না। ধরলাম, সারাটা সপ্তাহ আপনার উপর ধকল গেছে। কিন্তু
তাই বলে সারাটি দিন শুধু ঘুমিয়ে কাটবেন? সারাটা দিন না ঘুমিয়ে, অন্য দিনের চেয়ে
ঘণ্টা খানেক একটু বেশি ঘুমাতে পারেন সর্বোচ্চ। এতে পরের কর্ম দিবসেও অভ্যাসের কোন
পরিবর্তন হবেনা।
ঘরকুনো হতে মানা
“সারা সপ্তাহ বাইরেই তো কাটাই, একটা
দিনও কি বাসায় থাকবো না? পরিবারকে সময় দেবো না?” চিন্তা করে দেখুন, সারাটা সপ্তাহ
আপনার এক স্থানেই কাটানো হয়। সেটা হোক অফিস কিংবা ক্যাম্পাস। এ দিনটাতে অন্য কোথাও ঘুরে
আসুন। পরিবার বা বন্ধুদের সাথেই যান। তবুও বেশিক্ষণ বাসায় না থাকাই ভালো। এতে
আপনার একঘেঁয়েমিটা দূর হবে।
সিনেমা হলে কতদিন যান
না?
অনেকেই তার অবসরটা মুভি দেখে কাটিয়ে
দিতে চান। এটা অবসর কাটানোর ভাল একটা উপায়। তবে মনে রাখতে হবে, আমরা আজকাল খুবই
যান্ত্রিক হয়ে যাচ্ছি। অফিস বাসা, বাসা অফিস এ রুটিনটা ভালো নয়। একটু বাহিরে বের
হতে হবে। এক্ষেত্রে সিনেমা হল হতে পারে আপনার পছন্দের জায়গা। ভাল কোন সিনেমা হল আর
মুভি সিলেক্ট করে বেরিয়ে পড়ুন সদলবলে।
নতুন জায়গা, নতুন আমেজ
অবসর সময়টা কাটানোর অন্যতম একটি ভাল
উপায় হলো নতুন কোন জায়গায় ঘুরে আসা। কাছে কোথাও ভালো জায়গার সন্ধান পেলে দেরি না
করে বেরিয়ে পড়ুন। খুব বেশি দূরে হলে ফিরে আসার সময় জ্যামে পড়তে পারেন। তবে দূরে
যেতে চাইলে হাতে সময় নিয়ে বের হলেই সে সমস্যা আর হবে না।
বুফে কিংবা চাইনিজে
হ্যাং আউট
হ্যাং আউটের জন্য সবচেয়ে ভালো জায়গা
এটাই হতে পারে। বুফে বা চাইনিজে বসার আগে তার পরিবেশ, খাবার মান সম্পর্কে জেনে
নেওয়া উচিৎ। তা নাহলে পুরো হ্যাং আউটটাই মাটি হয়ে যেতে পারে। এক্ষেত্রে আগে কোন
জায়গার ভালো এক্সপিরিয়েন্স থাকলে সেখানে যাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। বিকালে রওনা
দিয়ে সন্ধ্যার পর নিরিবিলিতে বসে হ্যাং আউট করাটা সবচেয়ে বেস্ট।
ফিরে আসুন প্রাণের
ক্যাম্পাসে
সেই কবে পাশ করেছেন, আর যাওয়া হয়নি।
অবসর সময় কাটানোর অন্যতম উপায় আপনার ক্যাম্পাস ভ্রমণ। এ জায়গার প্রতিটি পদক্ষেপ
আপনাকে নস্টালজিক করে দিবে। যাওয়ার সময় আপনার পরিবার সাথে নিয়ে বন্ধুদের জানিয়ে
চলে আসুন প্রাণের ক্যাম্পাসে। আশা করি পরিবার আর পুরনো বন্ধুদের নিয়ে সময়টা খারাপ
কাটবে না।
আড্ডা হবে বন্ধু কিংবা
আত্মীয়ের বাসায়
আমাদের আত্মীয়তার বন্ধন দিনে দিনে
শিথিল হয়ে যাচ্ছে। ফোনে আর ফেসবুকে ছাড়া বন্ধুর খোঁজই নেওয়া হয় না। অবসর আপনাকেই
বলছে, একটু দেখা করে এসো। অনেকদিন পর আত্মীয় কিংবা বন্ধুর বাসায় একটু আড্ডা আমাদের
বন্ধনটাকে আরো একটু দৃঢ় করতে পারে। আর অবশ্যই তাদের আগে জানাতে ভুলবেন না। কে
জানে, আপনার মতো তাদেরও প্ল্যান থাকতে পারে।
রিকশায় শহর দেখা
উপরের যত টিপস দিলাম তা যদি পছন্দ না
হয় তাহলে এ টিপসটি অবশ্যই ভালো লাগবে। খুবই কমন মনে হলেও রিকশা ভ্রমণ কিন্তু বেশ
আনন্দ দায়ক। ছুটির দিনগুলোতে সন্ধ্যার পর রিকশা ভ্রমণে মজা পাওয়া যায়। তখন রাস্তা
ফাঁকা থাকে।
তবে এর সাথে কিছু সাবধানতা অবলম্বন
করতে হবে। রিকশা ভ্রমণ ঘণ্টা কন্ট্যাক্টকে ঠিক করার মত টাকা ছাড়া সাথে আর কিছু নেওয়া
যাবেনা। এমনকি সাধের স্মার্ট ফোনটিও। সর্বোচ্চ ফিচার ফোনটা নিয়ে বের হতে পারেন।
ছিনতাই বা অন্য কোন অনাকাক্ষিত ঘটনা এড়াতেই এ ব্যবস্থা।
বিঃদ্রঃ- আমার এ লেখাটি বিডিইয়ুথ.কমে প্রকাশিত হয়েছিল। এটার কপিরাইট তাদেরই। আমি শুধু পোর্টফোলিও তৈরির জন্য অনুমতি নিয়ে ব্যবহার করছি।
হ, চেহারা খারাপ বইলা নিজের ঘর থিকা বাইর হইনা, আর ক্যাম্পাসে যাইয়া এই চেহারা দেখামু? এই দুনিয়ায় খারাপ চেহারার দাম নাই।
ReplyDeleteভাই/বোন, আপনাকে নিয়ে অন্য কেউ কী ভাবলো তা নিয়ে চিন্তা না করে, লাইফটা এনজয় করুন। তারা আপনার দিকে তাকাবে তারপর টিপ্পনি কাটবে সর্বোচ্চ। এতে আপনার কোন ক্ষতিই হবে না। ব্রাইট সাইড দেখুন, মাঝারি মানের চেহারা হলে তো কেউ তাকাতোই না। আপনার দিকে তো তাকাচ্ছে। তার মানে আপনি অ্যাটেনশন সিক করতে পারছেন। বি পজিটিভ ব্রো/সিস। ধন্যবাদ।
ReplyDelete